জলপাইয়ের আচারের বৈশিষ্ট্য
স্বাদ ও গন্ধ: জলপাইয়ের আচারে টক-নোনতা-মিষ্টির এক অনন্য সমন্বয় থাকে। মসলার গন্ধ ও জলপাইয়ের নিজস্ব সুগন্ধ মিলে বিশেষ আঁশটে গন্ধ তৈরি হয়।
রং: সাধারণত জলপাইয়ের প্রাকৃতিক সবুজ বা বেগুনি রং বজায় থাকে, তবে মসলা ও তেলের প্রভাবে হালকা বাদামী বা সোনালী আভা পেতে পারে।
গঠন: জলপাই নরম কিন্তু কুঁচকানো অবস্থায় থাকে, ভেতরে শাঁস নরম ও বীজ শক্ত হয়।
প্রস্তুত প্রণালী
জলপাই ভালো করে ধুয়ে, লবণ পানিতে সেদ্ধ বা ভাপিয়ে নরম করে নিতে হয়। এরপর রোদে শুকিয়ে বা তেল-মসলার মিশ্রণে ডুবিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। সাধারণত সরিষার তেল, লবণ, মেথি, হলুদ, লাল মরিচ গুঁড়ো ও অন্যান্য মসলা ব্যবহার করা হয়।
স্বাস্থ্যগুণ
সংরক্ষণ ও ব্যবহার
শক্ত মুখবন্ধ পাত্রে রেখে ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে মাসের পর মাস সংরক্ষণ করা যায়। ভাত, রুটি, পরোটার সাথে বা এমনিতেই স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়।
জলপাইয়ের আচার শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণের দিক থেকেও একটি উৎকৃষ্ট সংরক্ষিত খাবার, যা যে কোনো সময় সহজে প্রস্তুত করে রাখা যায়।